বীথিকা

     নির্জন আঁধারে সে কি ভরেছিল বাণী?

 

               অবসন্ন গোধূলির পাণ্ডু নীলিমায়

          লিখে গেল দিগন্তসীমায়

               অস্তসূর্য — স্বর্ণাক্ষরধারা।

          রাত্রি কি উত্তরে তারি রচেছিল তারা?

 

     পথিক বাজায়ে গেল পথে - চলা বাঁশি,

          ঘরে সে কি উঠেছে উচ্ছ্বাসি?

               কোণে কোণে ফিরিছে কোথায়

          দূরের বেদনখানি ঘরের ব্যথায়!


দিনান্ত

      একাত্তরটি প্রদীপ - শিখা

                নিবল আয়ুর দেয়ালিতে,

     শমের সময় হল কবি

                এবার পালা - শেষের গীতে।

     গুণ টেনে তোর বয়েস চলে ,

                পায়ে পায়ে এগিয়ে আনে

     তরঙ্গহীন কূল - হারানো

                মানস - সরোবরের পানে।

     অরূপ - কমল - বনে সেথায়

                স্তব্ধবাণীর বীণাপাণি —

     এত দিনের প্রাণের বাঁশি

                চরণে তাঁর দাও রে আনি।

     ছন্দে কভু পতন ছিল,

                সুরে স্খলন ক্ষণে ক্ষণে,

     সেই অপরাধ করুণ হাতে

                ধৌত হবে বিস্মরণে।

     দৈবে যে গান গ্লানিবিহীন

                ফুলের মতো উঠল ফুটে