শ্যামলী

      বাইরে জটা - ঝোলা বটের ডালে

                 ডাকছে কোকিল।

                     মান - কচুর ঝোপের পাশে

            বিষম খেপে উঠেছে একদল ঝগড়াটে শালিখ।

                       দেখা যায়, ঝিল্‌মিল্‌ করছে

                              ঢালু পাড়ির তলায়

                        দিঘির উত্তর ধারের এক টুকরো জল

                              কলমি - শাকের পাড় - দেওয়া।

           চোখে পড়ল, লেখবার টেবিলে একটি ছবি।

             অল্প বয়সের যুবা, চিনি নে তাকে—

                 কয়লায় আঁকা, কাঁচকড়ার ফ্রেমে বাঁধানো

                        ফলাও তার কপাল, চুল আলুথালু,

                  চোখে যেন দূর ভবিষ্যতের আলো,

                    ঠোঁটে যেন কঠিন পণ তালা - আঁটা।

              এমন সময় অমিয়া নিয়ে এল

                            থালায় করে জলখাবার—

              চিঁড়ে, কলা, নারকেল - নাড়ু,

                               কালো পাথর - বাটিতে দুধ,

                                 এক - গেলাস ডাবের জল।

              মেঝের উপর থালা রেখে

      পশমে - বোনা একটা আসন দিল পেতে।

              খিদে নেই বললে মিথ্যে হত না,

                     রুচি নেই বললে সত্য হত,

                             কিন্তু খেতেই হল।

 

      তার পরে শোনা গেল খবর।

 

আমার ব্যবসায়ে আমদানি যখন জমে উঠেছে ব্যাঙ্কে,

        যখন হুঁশ ছিল না আর - কোনো জমাখরচে,

            তখন অমিয়ার বাবা কুঞ্জকিশোরবাবু

                       মাঝে মাঝে লক্ষপতির ঘরের

                   দুর্লভ দুই - একটি ছেলেকে