পূরবী

    নাহি মরে উপেক্ষায়, অপমানে না হয় অস্থির,

                  আঘাতে না টলে।

    যারে ভেবেছিল সবে কোন্‌কালে হয়েছে নিঃশেষ

                  কর্মপরপারে,

    এল সেই সত্য তব পূজ্য অতিথির ধরি বেশ

                  ভারতের দ্বারে।

 

    আজও তার সেই মন্ত্র — সেই তার উদার নয়ান

                  ভবিষ্যের পানে

    একদৃষ্টে চেয়ে আছে, সেথায় সে কী দৃশ্য মহান্‌

                  হেরিছে কে জানে।

    অশরীর হে তাপস, শুধু তব তপোমূর্তি লয়ে

                  আসিয়াছ আজ —

    তবু তব পুরাতন সেই শক্তি আনিয়াছ বয়ে,

                  সেই তব কাজ।

 

    আজি তব নাহি ধ্বজা, নাই সৈন্য রণ-অশ্বদল

                  অস্ত্র খরতর —

    আজি আর নাহি বাজে আকশেরে করিয়া পাগল

                   ‘ হর হর হর '।

     শুধু তব নাম আজি পিতৃলোক হতে এল নামি,

                  করিল আহ্বান —

    মুহূর্তে হৃদয়াসনে তোমারেই বরিল , হে স্বামী,

                  বাঙালির প্রাণ।

 

    এ কথা ভাবে নি কেহ এ তিন-শতাব্দ-কাল ধরি —

                  জানে নি স্বপনে —

    তোমার মহৎ নাম বঙ্গ-মারাঠারে এক করি

                  দিবে বিনা রণে।

    তোমার তপস্যাতেজ দীর্ঘকাল করি অন্তর্ধান

                 আজি অকস্মাৎ

    মৃত্যুহীন বাণী-রূপে আনি দিবে নূতন পরান