প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
৩। অনুবাদ
নিম্নে উদ্ধৃত দুইটি রচনার মধ্যে যেটির ইচ্ছা বাংলা কর।
(ক) The day is full of the singing of birds, the night is full of stars—Nature has become all kindness, and it is a kindness clothed upon with splendour.
For nearly two hours have I been lost in the contemplation of this magnificent spectacle. I felt myself in the temple of the Infinite, God's guest in this vast nature. The stars, wandering in the pale ether, drew me far away from earth. What peace beyond the power of words they shed on the adoring soul! I felt the earth floating like a boat in this blue ocean. Such deep and tranquil delight nourishes the whole man—it purifies and ennobles. I surrendered myself—I was all gratitude and docility.
(খ) There was once a king who had three sons. He was equally fond of all of them, and he could not decide to which to leave the kingdom after his death. When the time came for him to die, he called them to his bedside, and said, “My dear children, I have had something on my mind for a long time, which I will now disclose to you; whichever of you is the laziest shall inherit my kingdom.”
The eldest said, '' Then father, the kingdom will be mine, for I am so lazy that when I lie down to sleep, if something drops into my eye I don't even take the trouble to shut it.”
The second said, “Father, the kingdom belongs to me. I am so lazy that when I sit by the fire warming myself, I would sooner let my toes burn than draw my legs back.”
The third said, “Father, the kingdom is mine. I am so lazy that if I were going to be hanged and had the rope round my neck, and some one were to give me a sharp knife to cut it with, I would sooner be hanged than raise my hand to the rope.”
When his father heard that, he said, “You certainly carry your laziness furthest, and you shall be king.”
৪। ব্যাখ্যা
(ক) বর্তমান সভ্যতা সম্বন্ধে কোনো জাপানী লেখকের নিম্নলিখিত মন্তব্যের সরল ব্যাখ্যা কর-
“জগতে যুদ্ধ কবে নিরস্ত হইবে? য়ুরোপে ব্যক্তিগত ধর্মবুদ্ধি জাগ্রত আছে বটে, কিন্তু সেখানে জাতিসাধারণের ধর্মবুদ্ধি সে পরিমাণে সচেতন হয় নাই। লুব্ধস্বভাব জাতিদিগের ন্যায়পরতা থাকিতে পারে না এবং দুর্বলতর জাতিদের সহিত ব্যবহারকালে তাহারা বীরধর্ম বিস্মৃত হয়। এ কথা চিন্তা করিতেও হৃদয়ে বেদনা লাগে যে আজিও বাহুবলই জগতে প্রধান সহায়। য়ুরোপে এ কি অদ্ভুত বৈপরীত্য দেখিতে পাই? একদিকে হাঁসপাতাল, অন্য দিকে লোকহননের নবনব কৌশল; এক দিকে খৃষ্টধর্ম-প্রচারক, অন্য দিকে রাষ্ট্রবিস্তারের বিপুল আয়োজন। শান্তিরক্ষার উপায়সাধনের জন্য এ কি নিদারুণ অস্ত্রসজ্জা! এশিয়াখণ্ডের প্রাচীন সভ্যসমাজে এরূপ বৈপরীত্য কোন দিন স্থান পায় নাই। জাপানের প্রথম অভ্যুদয়ের দিন এরূপ আদর্শ তাহার ছিল না এবং এই আদর্শের প্রতি অগ্রসর হওয়া তাহার বর্তমান রাজনীতির লক্ষ্য নহে। এসিয়াকে দীর্ঘকাল যে মোহরজনী আচ্ছন্ন করিয়াছিল, জাপানের দিক্প্রান্তে তাহার আবরণ যখন কথঞ্চিৎ উন্মোচিত হইল তখন দেখা গেল জগতের মানবসমাজ এখনো কুহেলিকায় আবিষ্ট। য়ুরোপ আমাদিগকে যুদ্ধবিদ্যা শিক্ষা দিয়াছে, কবে সেই য়ুরোপ শান্তির কল্যাণ নিজে শিক্ষা করিবে?”