শৈশবসঙ্গীত
শারদ তটিনী বহিছে দূরে!
সাঁঝের কনকবরণ সাগর
অলস ভাবে সে ঘুমায়ে আছে,
দেখিনু দারুণ বাধিয়াছে রণ
গউরীশিখর গিরির কাছে।
দেখিনু সহসা বীর একজন
সমরসাগরে গিরির মতন—
পদতলে আসি আঘাতে লহরী,
তবুও অটল-পারা।
বিশাল ললাটে ভঙ্গীটি নাই,
শান্ত ভাব জাগে নয়নে সদাই—
উরস-বরমে বরষার মত
বরিষে বাণের ধারা।
অশনিধ্বনিত ঝটিকার মেঘে
দেখেছি ত্রিদশপতি—
চারি দিকে সব ছুটিছে ভাঙ্গিছে,
তিনি সে মহান্ অতি!
এমন উদার শান্ত ভাব বুঝি
দেখি নি তাঁহারো কভু।
পৃথ্বী নত হয় যাঁহার অসিতে,
স্বরগ যে জন পারেন শাসিতে,
দুরবল এই নারীহৃদয়ের
তাঁহারে করিনু প্রভু।
দিলাম বিছায়ে দিব্য পাখাছায়া
মাথার উপরে তাঁর,
মায়া দিয়া তাঁরে রাখিনু আবরি
নাশিতে বাণের ধার।
প্রতি পদে পদে গেনু সাথে সাথে,
দেখিনু সমর ঘোর—
শোণিত হেরিয়া শিহরি উঠিল