শৈশবসঙ্গীত
জোছনায় মিশি সে রূপের ছায়া
সলিলে তোমার ভাসিবে না,
তবে থাম গো সাগর, থাম গো—
কেন হয়েছ অধীরপ্রাণ,
তুমি রাখ এ আমার কথা,
তুমি শোন এ আমার গান।
....
দেখিতে দেখিতে শতেক ঊরমি
সাগর-উরসে ঘুমায়ে এল,
দেখিতে দেখিতে মেঘেরা মিলিয়া
সুদূর শিখরে খেলাতে গেল।
যে মহাপবন সাগরহৃদয়ে
প্রলয়খেলায় আছিল রত,
অতি ধীরে ধীরে কপোল আমার
চুমিতে লাগিল প্রণয়ী-মত।
গীতরব মোর দ্বীপের কাননে
বহিয়া লইয়া গেল সে ধীরে—
“কে গায়” বলিয়া কাননবালারা
থামিতে কহিল পাপিয়াটিরে।
বীরেরে তখন লইয়া এলাম
অমরদ্বীপের কাননতীরে,
কুসুমশয়নে অচেতন দেহ
যতন করিয়া রাখিনু ধীরে।
চেতন পাইয়া উঠিল জাগিয়া,
অবাক্ রহিল চাহি,
পৃথিবীর স্মৃতি ঢাকিয়া ফেলিনু
মায়াময় গীত গাহি।
নূতন জীবন পাইয়া তখন