শৈশবসঙ্গীত
            নাই যেন  আঁখির শকতি—
দ্বারে শুনি পদধ্বনি             হৃদয়ে বিসময় গণি
            তুলে মুখ ধীরে ধীরে অতি।

সহসা নয়নে তার জ্বলিল অনল,

সহসা মুহূর্ত্ততরে দেহে এল বল।

“ললিতা” “ললিতা” বলি করিয়া চীৎকার—

দু-পা হয়ে অগ্রসর কম্পবান কলেবর

শ্রান্ত হয়ে ভুমিতলে পড়িল আবার।

করুণ নয়নে অতি— ললিতা-মুখের প্রতি

অজিত রহিল স্তব্ধ একদষ্টে চাহি—

দীপশিখা অতি স্থির, স্তব্ধ গৃহ সুগভীর

চারি দিকে একটুকু সাড়াশব্দ নাহি।

দুই হাতে আঁখি চাপি, থর থর কাঁপি কাঁপি

মূছিয়া ললিতা বালা পড়িল অমনি!

বাহিরে উঠিল ঝড়, গর্জ্জিল অশনি—

জীর্ণ গৃহ কাঁপাইয়া— ভগ্ন বাতায়ন দিয়া

প্রবেশিল বায়ুচ্ছ্বাস গৃহের মাঝারে,

নিভিল প্রদীপ, গৃহ পূরিল অঁধারে।