প্রকৃতির প্রতিশোধ
      নাচিছ দিক্‌বসনে।
মহা আনন্দে পুলককায়   গঙ্গা উথলি ছলি যায়,
    ভালে শিশুশশী হাসিয়া চায়,
      জটাজুট ছায় গগনে।

 

[প্রস্থান
অষ্টম দৃশ্য
গুহাদ্বারে
সন্ন্যাসীর প্রবেশ
সন্ন্যাসী।    আয় তোরা, কাছে আয় কে আসিবি আয়—
সকলি সুন্দর হেরি এ বিশ্বজগতে।
বালিকা।    আমিও কি কাছে যাব! ডাকো পিতা ডাক!,
কী দোষ করিয়াছিনু বলো বুঝাইয়া!
সন্ন্যাসী।    কিছু ভয় করিস নে, কোনো দোষ নেই —
তোরে ফেলে আর কভু যাব না বালিকা।


গুহার কাছে গিয়া
এ কী অন্ধকার হেথা! এ কী বদ্ধ গুহা!
আয়, বাছা, মোরা দোঁহে বাহিরেতে যাই
চাঁদের আলোতে গিয়ে বসি এক বার।


বাহিরে আসিয়া
আহা এ কী সুমধুর! এ কী শান্তি-সুধা!
কী আরামে গাছগুলি রয়েছে দাঁড়ায়ে!
মনে সাধ যায় ঐ তরু হয়ে গিয়ে
চন্দ্রালোকে দাঁড়াইয়া স্তব্ধ হয়ে থাকি।
ধীরে ধীরে কত কী যে মনে আসিতেছে।
অতীতের অতি দূর ফুলবন হতে
বায়ু যেন বহে আসে নিশ্বাসের মতো,
সাথে লয়ে পল্লবের মর্মরবিলাপ,
মিলিত জড়িত শত পুষ্পগন্ধরাশি।