শারদোৎসব

ঝরা মালতীর ফুলে

আসন বিছানো নিভৃত কুঞ্জে

ভরা গঙ্গার কূলে,

ফিরিছে মরাল ডানা পাতিবারে

তোমার চরণমূলে।

গুঞ্জরতান তুলিয়ো তোমার

সোনার বীণার তারে

মৃদু মধু ঝংকারে,

হাসিঢালা সুর গলিয়া পড়িবে

ক্ষণিক অশ্রুধারে।

রহিয়া রহিয়া যে পরশমণি

ঝলকে অলককোণে।

পলকের তরে সকরুণ করে

বুলায়ো বুলায়ো মনে—

সোনা হয়ে যাবে সকল ভাবনা,

আঁধার হইবে আলা।


সন্ন্যাসী। পৌঁচেছে, তোমাদের গান আজ একেবারে আকাশের পারে গিয়ে পৌঁচেছে! দ্বার খুলেছে তাঁর! দেখতে পাচ্ছ কি শারদা বেরিয়েছেন? দেখতে পাচ্ছনা? দূরে, দূরে, সে অনেক দূরে, বহু বহু দূরে! সেখানে চোখ যে যায় না! সেই জগতের সকল আরম্ভের প্রান্তে, সেই উদয়াচলে প্রথমতম শিখরটির কাছে! যেখানে প্রতিদিন উষার প্রথম পদক্ষেপটি পড়লেও তবু তাঁর আলো চোখে এসে পৌঁছয় না, অথচ ভোরের অন্ধকারের সর্বাঙ্গে কাঁটা দিয়ে ওঠে—সেই অনেক অনেক দূরে! সেইখানে হৃদয়টি মেলে দিয়ে স্তব্ধ হয়ে থাকো, ধীরে ধীরে একটু একটু করে দেখতে পাবে। আমি ততক্ষণ আগমনীর গানটি গাইতে থাকি।

গান
ভৈরবী। একতালা

লেগেছে অমল ধবল পালে

মন্দ মধুর হাওয়া।

দেখি নাই কভু দেখি নাই

এমন তরণী বাওয়া।

কোন্‌ সাগরের পার হতে আনে

কোন্‌ সুদূরের ধন!

ভেসে যেতে চায় মন,