প্রকৃতির প্রতিশোধ
হা হা করে হাসিতেছে প্রকৃতি রাক্ষসী!
এখনো কি আশা তোর পুরে নি পাষাণী?
এখনো করিবি মোরে আরো অপমান!
আরো ধুলা দিবি ফেলে এ মাথায় মোর!
আরো গহ্বরেতে মোরে টেনে নিয়ে যাবি!
না রে না, তা হবে না রে, এখনো যুঝিব —
এখনো হইব জয়ী ছিঁড়িব শৃঙ্খল।
সন্ন্যাসীর সবেগে গুহা হইতে বহির্গমন
ও মূর্ছিত হইয়া বালিকার পতন
ত্রয়োদশ দৃশ্য
অরণ্য
ঝড়বৃষ্টি। রাত্রি
সন্ন্যাসী। কে ও রে করুণকণ্ঠে করে আর্তনাদ!
এখনো কানেতে কেন পশিছে আসিয়া!
প্রলয়ের শব্দে আজি কাঁপিছে ধরণী—
বজ্রদন্ত কড়মড়ি ছুটিতেছে ঝড়,
ক্ষুব্ধ সমুদ্রের মতো আঁধার অরণ্য
তরুর তরঙ্গ লয়ে উঠিছে পড়িছে!
তবুও ঝটিকা, তোর বজ্রগীত গেয়ে
ক্ষুদ্র এক বালিকার ক্ষীণ কণ্ঠধ্বনি
পারিলি নে ডুবাইতে! এখনো শুনি যে!
ওই -যে সে কাঁদিতেছে করুণ স্বরেতে,
নিশীথের বুক ফেটে উঠিছে সে ধ্বনি।
কোথা যাব, কোথা যাব, কোন্ অন্ধকারে —
জগতের কোন্ প্রান্তে, নিশীথের বুকে —
ধরণীর কোন্ ঘোর, ঘোর গর্ভতলে—
এ ধ্বনি কোথায় গেলে পশিবে না কানে!
যাই ছুটে আরো, আরো অরণ্যের মাঝে —
মহাকায় তরুদের জটিলতা-মাঝে
দিগ্বিদিক হারাইয়া মগ্ন হয়ে যাই।