রুদ্রচণ্ড
অমিয়া। চাঁদ কবি ভাই মোর আছেন কি হেথা?
বড় শ্রান্ত ক্লান্ত আমি চাহি গো আশ্রয়।
দ্বাররক্ষক। এ রাত্রে দুয়ারে মিছা করিস নে গোল।
হেথা ঠাঁই মিলিবে না, দূর হ ভিখারি।
দ্বাররোধন। একটি পান্থের প্রবেশ
পানথ। উঃ! একি মুহুর্মুহু হানিছে বিদ্যুৎ!
এ দুর্যোগে পথপার্শ্বে কে বসিয়া হোথা?
এমন বহিছে ঝড়, গর্জিছে অশনি,
আর রাত্রে গৃহ ছেড়ে পথে কে রে তুই!
কাছে আসিয়া
একি বাছা, হেথা কেন একেলা বসিয়া?
পিতা মাতা কেহ তোর নাই কি সংসারে?
অমিয়া। কাঁদিয়া উঠিয়া
ওগো পান্থ, কেহ নাই, কেহ নাই মোর।
অমিয়া আমার নাম, বড় শ্রান্ত আমি,
সারাদিন পথে পথে করেছি ভ্রমণ।
পান্থ। আয় মা, আমার সাথে আয় মোর ঘরে।
অরণ্যে আমার কুঁড়ে, বেশি দূর নয়।
আহা দাঁড়াবার বল নাই যে চরণে।
আয়, তোরে কোলে ক’রে তুলে নিয়ে যাই।
অমিয়া। চাঁদ কবি, ভাই মোর, তারে জান তুমি?
কোথায় থাকেন তিনি পার কি বলিতে?
পান্থ। জানি নে মা, কোথাকার কে সে চাঁদ কবি।
আমরা বনের লোক, কাঠ কেটে খাই,
নগরে কে কোথা থাকে জানিব কি ক’রে?
চল্ মা, আজি এ রাত্রে মোর ঘরে চল্।