ঋণশোধ
      শীতল শিশির-ঢালা॥
            ঝরা মালতীর ফুলে
      আসন-বিছানো নিভৃত কুঞ্জে
            ভরা গঙ্গার কূলে,
      ফিরিছে মরাল ডানা পাতিবারে
            তোমার চরণমূলে।
      গুঞ্জর তান তুলিয়ো তোমার
            সোনার বীণার তারে
              মৃদু মধু ঝংকারে,
      হাসিঢালা সুর গলিয়া পড়িবে
            ক্ষণিক অশ্রুধারে।
      রহিয়া রহিয়া যে পরশমণি
            ঝলকে অলককোণে,
      পলকের তরে সকরুণ করে
            বুলায়ো বুলায়ো মনে।
      সোনা হয়ে যাবে সকল ভাবনা,
            আঁধার হইবে আলা॥


শেখর। পৌঁচেছে, গান আকাশের পারে গিয়ে পৌঁচেছে। দ্বার খুলেছে তাঁর। দেখতে পাচ্ছ কি, শারদা বেরিয়েছেন। দেখতে পাচ্ছ না? আচ্ছা তাহলে আগে ধ্যানের গানটি গেয়ে নিই।

গান
লেগেছে অমল ধবল পালে মন্দ মধুর হাওয়া।
দেখি নাই কভু দেখি নাই এমন তরণী বাওয়া।
   কোন্‌ সাগরের পার হতে আনে
      কোন্‌ সুদূরের ধন!
      ভেসে যেতে চায় মন,
   ফেলে যেতে চায় এই কিনারায়
      সব চাওয়া সব পাওয়া।
   পিছনে ঝরিছে ঝর ঝর জল
      গুরু গুরু দেয়া ডাকে,
   মুখে এসে পড়ে অরুণ কিরণ
      ছিন্ন মেঘের ফাঁকে।
   ওগো কাণ্ডারী, কে গো তুমি, কার