ভগ্নহৃদয়
কুসুমিত সে অনন্ত স্নেহরাজ্য-’পরে
তিল স্থান থাকে যেন মুরলার তরে!
যত দিন থাকে প্রাণ— ব্যাপি সেইটুকু স্থান
মাটিতে মিশায়ে রবে হৃদয় আমার।
কোনো— কোনো— কোনো সুখ নাহি চাহি আর।


চতুর্থ সর্গ
কবি
প্রথম গান
বিপাশার তীরে ভ্রমিবারে যাই,
প্রতিদিন প্রাতে দেখিবারে পাই
লতা-পাতা-ঘেরা জানালা-মাঝারে
      একটি মধুর মুখ।
চারি দিকে তার ফুটে আছে ফুল,
কেহ বা হেলিয়া পরশিছে চুল,
দুয়েকটি শাখা কপাল ছুঁইয়া,
দুয়েকটি আছে কপোলে নুইয়া,
কেহবা এলায়ে চেতনা হারায়ে
      চুমিয়া আছে চিবুক।
বসন্ত প্রভাতে লতার মাঝারে
      মুখানি মধুর অতি!
অধর দুটির শাসন টুটিয়া
রাশি রাশি হাসি পড়িছে ফুটিয়া,
দুটি আঁখি-’পরে মেলিছে মিশিছে
      তরল চপল জ্যোতি।
দ্বিতীয় গান
প্রতিদিন যাই সেই পথ দিয়া,
      দেখি সেই মুখখানি—
কুসুমমাঝারে রয়েছে ফুটিয়া
      কুসুমগুলির রানী!