বীথিকা

                      ঝোপের আড়ালে

                 গলাফোলা গিরগিটি স্তব্ধ আছে ঘাসে।

        ঝুড়ি নিয়ে বারবার সাঁওতাল মেয়ে যায় আসে।

 

                 আমার মাটির ঘরখানা

       আরম্ভ হয়েছে গড়া, মজুর জুটেছে তার নানা।

                  ধীরে ধীরে ভিত তোলে গেঁথে

                       রৌদ্রে পিঠ পেতে।

 

                              মাঝে মাঝে

                    সুদূরে রেলের বাঁশি বাজে ;

           প্রহর চলিয়া যায়, বেলা পড়ে আসে,

       ঢং ঢং ঘন্টাধ্বনি জেগে ওঠে দিগন্ত - আকাশে।

                       আমি দেখি চেয়ে,

         ঈষৎ সংকোচে ভাবি—এ কিশোরী মেয়ে

                পল্লীকোণে যে ঘরের তরে

           করিয়াছে প্রস্ফুটিত দেহে ও অন্তরে

            নারীর সহজ শক্তি আত্মনিবেদনপরা

                    শুশ্রূষার স্নিগ্ধসুধা - ভরা,

      আমি তারে লাগিয়েছি কেনা কাজে করিতে মজুরি—

         মূল্যে যার অসম্মান সেই শক্তি করি চুরি

                  পয়সার দিয়ে সিঁধকাঠি।

        সাঁওতাল মেয়ে ওই ঝুড়ি ভরে নিয়ে আসে মাটি।