ভগ্নহৃদয়
অদৃষ্টের অত্যাচার সহা নাহি যায়!
[অনিলের প্রস্থান
ললিতার প্রবেশ
ললিতা।     এমনি করেই তোর কাটিবে কি দিন?
ললিতা রে, আর তো সহে না!
এ জীবন আর তো রহে না!
বিধাতা, বিধাতা, তোর ধরি রে চরণ—
বল্‌ মোরে কবে মোর হইবে মরণ?
নাইক সুখের আশা—     চাই নাকো ভালোবাসা—
সুখসম্পদের আশা দুরাশা আমার—
কপালে নাইক যাহা চাই না তা আর!
এক ভিক্ষা মাগি ওরে—      তাও কি দিবি নে মোরে?
সে নহে সুখের ভিক্ষা— মরণ— মরণ!—
মরণ— মরণ দে রে—     আর কিছু চাহি নে রে,
আর কোন আশা নাই— মরণ মরণ!
এখনি মুদিলে আঁখি      যদি রে আর না থাকি,
অমনি বায়ুর স্রোতে মিশাইয়া যাই—
এখনি এখনি আহা হয় যদি তাই!


অনিলের প্রবেশ
ললিতা।     কোথা যাও, কোথা যাও,   সখা, তুমি কোথা যাও—
একবার চেয়ে দেখো এই দিক-পানে!
কহি গো চরণ ধরে— ফেলিয়া যেও না মোরে!
আর তো যাতনা, সখা, সহে না এ প্রাণে।
ভালোবাসা চাই না তো, সখা গো, তোমার—
একটুকু দয়া শুধু কোরো একবার!
একটুকু কোরো, সখা, মুখের যতন—
মুহূর্তের তরে, সখা, দিয়ো দরশন!
নিতান্ত সহিতে নারি     যবে পা-দুখানি ধরি
আঘাত করিয়া, সখা, ফেলিও না দূরে—
এইটুকু দয়া শুধু কোরো তুমি মোরে!