ভগ্নহৃদয়
হে প্রভাতবায়?
প্রভাতে নলিনী আজি হাসিছে সরসে?
হাসুক সরসে!
শিশিরে গোলাপগুলি কাঁদিছে হরষে?
কাঁদুক হরষে!
ও এখনি বৃন্ত হ’তে কঠিন মাটিতে
পড়িবে ঝড়িয়া—
শান্তিতে মরে গো যেন মরিবার কালে,
যাও গো সরিয়া!
মুখখানি ধীরে ধীরে দেখিতেছ তুলে
দাঁড়াইয়া কাছে—
দেখিবারে— ক্ষুদ্র জুঁই মুখ নত করি
অভিমান ক’রে বুঝি আছে!
নয় নয়, তাহা নয়, সে সকল খেলা নয়—
ফুরায় জীবন!
তবে যাও, চ’লে যাও— আর কোনো ফুলে যাও
প্রভাতপবন!
ওরে কি শুধতে আছে প্রেমের বারতা
মর’-মর’ যবে?
একটি কহে নি কথা, অনেক সহেছে—
মরমে মরমে কীট অনেক বহেছে—
আজ মরিবার কালে শুধাইছ কেন?
কথা নাহি ক’বে!
ও যখন মাটি-’পরে পড়িবে ঝরিয়া
ওরে ল’য়ে খেলাস নে তুই!
উড়ায়ে যাস নে ল’য়ে হেথা হ’তে হোথা!
ক্ষুদ্র এক জুঁই!
যেথাই খসিয়া পড়ে সেথা যেন থাকে প’ড়ে,
ঢেকে দিস শুকানো পাতায়!
ক্ষুদ্র জুঁই ছিল কিনা কেহই তো জানিত না,
মরিলেও জানিবে না তায়!
কাননে হাসিত চাঁপা, হাসিত গোলাপ