মুক্তধারা

বিজয়পাল। এই দেখো মহারাজের আদেশপত্র।

সঞ্জয়। এ কার ষড়যন্ত্র? তাঁর কাছে আমাকে একবার যেতে দাও।

বিজয়পাল। ক্ষমা করবেন।

সঞ্জয়। আমাকেও বন্দী করো, আমি বিদ্রোহী।

বিজয়পাল। আদেশ নেই।

সঞ্জয়। আচ্ছা, আদেশ নিতে এখনই চললুম। (কিছু দূরে গিয়া ফিরিয়া আসিয়া) বিজয়পাল, এই পদ্মটি আমার নাম করে দাদাকে দিয়ো।

[ উভয়ের প্রস্থান
শিবতরাইয়ের বৈরাগী ধনঞ্জয়ের প্রবেশ ১
গান

আমি     মারের সাগর পাড়ি দেব      বিষম ঝড়ের বায়ে

আমার     ভয়-ভাঙা এই নায়ে।

মাভৈঃ বাণীর ভরসা নিয়ে

ছেঁড়াপালে বুক ফুলিয়ে

তোমার     ওই পারেতেই যাবে তরী

ছায়াবটের ছায়ে।

পথ আমারে সেই দেখাবে

যে আমারে চায়—

আমি      অভয়মনে ছাড়ব তরী

এই শুধু মোর দায়।

দিন ফুরোলে জানি জানি

পৌঁছে ঘাটে দেব আনি

আমার      দুঃখদিনের রক্তকমল

তোমার করুণ পায়ে।

শিবতরাইয়ের একদল প্রজার প্রবেশ

ধনঞ্জয়। একেবারে মুখ চুন যে! কেন রে, কি হয়েছে?

১। প্রভু, রাজশ্যালক চণ্ডপালের মার তো সহ্য হয় না। সে আমাদের যুবরাজকেই মানে না, সেইটেতেই আরো অসহ্য হয়।


১. এই নাটকের পাত্র ধনঞ্জয় ও তাহার কথোপকথনের অনেকটা অংশ “প্রায়শ্চিত্ত” নামক আমার একটি নাটক হইতে লওয়া। সেই নাটক এখন হইতে পনেরো বছরেরও পূর্বে লিখিত।