নটরাজ

          দেখালে আপন পন্থ।

 

ছিনু পথ চেয়ে বহু দুখ সয়ে,

          আজ দেখি এ কী দৃশ্য,

শক্তি তোমার সুন্দর হয়ে

          জিনিল কঠিন বিশ্ব।

  তব পুষ্পিত তরু

  জয় করি নিল মরু,

মুক চিত্তের জাগাইলে গান,

          কবি হল তব শিষ্য।

  এ কী লীলা, হে বসন্ত,

যা ছিল শ্রীহীন দীপ্তি-বিহীন

          করিলে প্রজ্বলন্ত।


আবাহন
গান

তোমার আসন পাতব কোথায়

হে অতিথি।

ছেয়ে গেছে শুকনো পাতায়

কাননবীথি।

ছিল ফুটে মালতী ফুল, কুন্দকলি,

উত্তরবায় লুঠ করে তায় গেল চলি,

হিমে বিবশ বনস্থলী

বিরলগীতি,

হে অতিথি।

 

সুর-ভোলা ঐ ধরার বাঁশি

লুটায় ভুঁয়ে,

মর্মে তাহার তোমার হাসি

দাও-না ছুঁয়ে।

মাতবে আকাশ নবীন রঙের তানে তানে,