কালের যাত্রা

তখন প্রভু আছেন চিত হয়ে বুকে দুই পা আটকে।

তূরী ভেরী দামামা জগঝম্পের চোটে ধ্যান যদি বা ভাঙল,

পা-দুখানা তখন আড়ষ্ট কাঠ।

নাগরিক

শ্রীচরণের দোষ কী দাদা!

পঁয়ষট্টি বছরের মধ্যে একবারও নাম করে নি চলাফেরার।

বাবাজি বলবেন কী।

দ্বিতীয় ধনিক

কথা কওয়ার বালাই নেই।

জিভটার চাঞ্চল্যে রাগ করে গোড়াতেই সেটা ফেলেছেন কেটে।

ধনিক

তার পরে?

দ্বিতীয় ধনিক

তার পরে দশ জোয়ানে মিলে আনলে তাঁকে রথতলায়।

দড়িতে যেমনি তাঁর হাত পড়া,

রথের চাকা বসে যেতে লাগল মাটির নীচে।

ধনিক

নিজের মনটা যেমন ডুবিয়েছেন রথটাকেও তেমনি তলিয়ে দেবার চেষ্টা।

দ্বিতীয় ধনিক

একদিন উপবাসেই মানুষের পা চায় না চলতে —

পঁয়ষট্টি বছরের উপবাসের ভার পড়ল চাকার 'পরে।


মন্ত্রী ও ধনপতির প্রবেশ

ধনপতি

ডাক পড়ল কেন মন্ত্রীমশায়?

মন্ত্রী

অনর্থপাত হলেই সর্বাগ্রে তোমাকে স্মরণ করি।

ধনপতি

অর্থপাতে যার প্রতিকার, আমার দ্বারা তাই সম্ভব।

মন্ত্রী

মহাকালের রথ চলছে না।

ধনপতি

এ পর্যন্ত আমরা কেবল চাকায় তেল দিয়েছি,