প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
এক ডুবে তিন গোছা পাট-শিয়ালা তুলে
ভিজে চুল দিয়ে বেঁধে দড়ি-প্রভুর কাছে পোড়ালে
প্রভুর টনক নড়বে। জোগাড় করেছি অনেক যত্নে,
সময়ও হয়েছে পোড়াবার।
আগে দড়ি-বাবার গায়ে সিঁদুর-চন্দন লাগা ;
ভয় কিসের, ভক্তবৎসল তিনি —
মনে মনে শ্রীগুরুর নাম করে গায়ে হাত ঠেকালে
অপরাধ নেবেন না তিনি।
তুই দে-না ভাই চন্দন লাগিয়ে, আমাকে বলিস কেন।
আমার দেওরপো পেট-রোগা,
কী জানি কিসের থেকে কী হয়।
তৃতীয়া
ওই তো ধোঁওয়া পাকিয়ে পাকিয়ে উঠছে।
কিন্তু জাগলেন না তো।
দয়াময়!
জয় প্রভু, জয় দড়ি-দয়াল প্রভু, মুখ তুলে চাও।
তোমাকে দেব পরিয়ে পঁয়তাল্লিশ ভরির সোনার আংটি —
গড়াতে দিয়েছি বেণী স্যাকরার কাছে।
দ্বিতীয়া
তিন বছর থাকব দাসী হয়ে, ভোগ দেব তিন বেলা।
ওলো বিনি, পাখাটা এনেছিস তো বাতাস কর্-না —
দেখছিস্ নে রোদ্দুরে তেতে উঠেছে ওঁর মেঘবরন গা।
ঘটি করে গঙ্গাজলটা ঢেলে দে।
ঐখানকার কাদাটা দে তো, ভাই, আমার কপালে মাখিয়ে।
এই তো আমাদের খেঁদি এনেছে খিচুড়ি-ভোগ।
বেলা হয়ে গেল, আহা, কত কষ্ট পেলেন প্রভু!
জয় দড়ীশ্বর, জয় মহাদড়ীশ্বর, জয় দেবদেবদড়ীশ্বর,
গড় করি তোমায়, টলুক তোমার মন।
মাথা কুটছি তোমার পায়ে, টলুক তোমার মন।
পাখা কর লো ; পাখা কর্, জোরে জোরে।