গৃহপ্রবেশ

যতীন। কোনো ক্ষতি হবে না। জেগে থেকে ঘুমের চেয়ে বেশি শান্তি পাব। জান, মাসি? মন্দির হল সারা— এখন হবে
দেবীমূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠা। আমি বেঁচে থাকতে থাকতে যে এতটা হতে পারবে, মনেও করি নি।

মাসি। আমি ঘরে থাকলে তোর কথা থামবে না। আমি যাই। ঘুমোতে না চাস, অন্তত চুপ করে থাক্‌।

যতীন। আচ্ছা, বাড়ির যে প্ল্যান করেছিলুম সেইটে আমাকে দিয়ে যাও— আর আমার সেই খেলাঘরের বাক্সটা। খেলাঘর বলতে গিয়ে সেই গানটা মনে পড়ে গেল— হিমি, হিমি—

মাসি। ব্যস্ত হোস নে যতীন, আমি ডেকে দিচ্ছি।

[ প্রস্থান
হিমির প্রবেশ

হিমি। কী দাদা।

যতীন। ঐ গানটা গা বোন— সেই যে খেলাঘর—

হিমির গান

খেলাঘর বাঁধতে লেগেছি

মনের ভিতরে।

কত রাত তাই তো জেগেছি

বলব কি তোরে।

পথে যে পথিক ডেকে যায়,

অবসর পাই নে আমি হায়,

বাহিরের খেলায় ডাকে যে —

যাব কী ক'রে।

যাহাতে সবার অবহেলা,

যায় যা ছড়াছড়ি,

পুরানো ভাঙা দিনের ঢেলা,

তাই দিয়ে ঘর গড়ি।

যে আমার নিত্যখেলার ধন,

তারি এই খেলার সিংহাসন,

ভাঙারে জোড়া দেবে সে

কিসের মন্তরে।


ডাক্তারের প্রবেশ

ডাক্তার। গান হচ্ছে, বেশ বেশ, খুব ভালো— ওষুধের চেয়ে ভালো। যতীন, মনটা খুশি রাখো, সব ঠিক হয়ে যাবে। পঁচানব্বইয়ের চেয়ে কম বাঁচা একটা মস্ত অপরাধ। ফাঁসির যোগ্য।