অন্ত্যেষ্টি-সৎকার

স্কন্দ। কী?

চন্দ্র। কী?

নন্দ। কী?

ডাক্তার। ওঁর বদলে তোমরা যদি কেউ সময়মত মর।


তৃতীয় দৃশ্য
বহির্বাটিতে লোকসমাগম

কানাই। ওহে, সাড়ে-আটটা বাজল। দেরি কিসের?

চন্দ্র। বসুন, একটু তামাক খান।

কানাই। তামাক তো সকাল থেকেই খাচ্ছি।

বলাই। কই হে, তোমাদের জোগাড় তো কিছুই দেখি নে।

চন্দ্র। জোগাড় সমস্তই আছে — আমাদের কোনো ত্রুটি নেই — এখন কেবল-

রামতারণ। কী হে চন্দ্র, আর দেরি করা তো ভালো হয় না।

চন্দ্র। সে কি আমি বুঝি নে — কিন্তু-

হরিহর। দেরি কিসের জন্যে হচ্ছে? আপিসের বেলা হয় যে, কাণ্ডখানা কী!

ইন্দ্রকিশোরের প্রবেশ

ইন্দ্র। ব্যস্ত হবেন না, হল বলে। ততক্ষণ কন্‌ডোলেন্‌স্‌ লেটারগুলো পড়ুন।

হাতে হাতে বিলি

এটা ল্যাম্‌বার্টের, এটা হ্যারিসনের, এটা সার জেম্‌স্‌-

স্কন্দকিশোরের প্রবেশ

স্কন্দ। এই নিন, ততক্ষণ কাগজে বাবার মৃত্যুর বিবরণ পড়ুন। এই স্টেট্‌স্‌ম্যান, এই ইংলিশম্যান।

মধুসূদন। ( যাদবের প্রতি ) দেখছ ভাই, বাঙালি পাংচুয়ালিটি কাকে বলে জানে না।

ইন্দ্র। ঠিক বলেছেন। মরবে তবু পাংচুয়াল হবে না।

খবরের কাগজ ও কন্‌ডোলেন্‌স পত্র পড়িতে পড়িতে অভ্যাগতগণের অশ্রুপাত

রাধামোহন। ( সজল নেত্রে) হরি হে দীনবন্ধু!

নয়ানচাঁদ। হায় হায়, এমন লোকেরও এমন বিপদ ঘটে!

নবদ্বীপচন্দ্র। ( সনিশ্বাসে ) প্রভু, তোমারই ইচ্ছা!

রসিক। ‘ হৃদয়বৃন্তে ফুটে যে কমল ' — তার পরে কী ভুলে যাচ্ছি-

‘ হৃদয়বৃন্তে ফুটে যে কমল

তাহারে কাল অকালে ছিঁড়িলে হৃদয়-

মৃণাল ডুবে শোকসাগরের জলে। '