রাজা ও রানী

সুখ। হিংসা জাগরণ। হিংসা স্বাধীনতা।

সেনাপতির প্রবেশ

সেনাপতি।  আসিছে বিদ্রোহী সৈন্য।

বিক্রমদেব।                       চলো, তবে চলো!

চরের প্রবেশ

     চর।  রাজন্, বিপক্ষদল নিকটে এসেছে।

নাই বাদ্য, নাই জয়ধ্বজা, নাই কোনো

যুদ্ধ-আস্ফালন, মার্জনা-প্রার্থনা-তরে

আসিতেছে যেন।

বিক্রমদেব।                       থাক্‌, চাহি না শুনিতে

মার্জনার কথা। আগে আমি আপনারে

করিব মার্জনা, অপযশ রক্তস্রোতে

করিব ক্ষালন। যুদ্ধে চলো সেনাপতি!

দ্বিতীয় চরের প্রবেশ

দ্বিতীয় চর। বিপক্ষশিবির হতে আসিছে শিবিকা

বোধ করি সন্ধিদূত লয়ে।

সেনাপতি।                       মহারাজ,

তিলেক অপেক্ষা করো — আগে শোনা যাক

কী বলে বিপক্ষদূত —

বিক্রমদেব।                       যুদ্ধ তার পরে।

সৈনিকের প্রবেশ

  সৈনিক। মহারানী এসেছেন বন্দী ক'রে লয়ে

যুধাজিৎ আর জয়সেনে।

বিক্রমদেব।                       কে এসেছে?

  সৈনিক। মহারানী।

বিক্রমদেব।                       মহারানী! কোন্‌ মহারানী?

  সৈনিক। আমাদের মহারানী।

বিক্রমদেব।                       বাতুল! উন্মাদ!

যাও সেনাপতি, দেখে এস কে এসেছে।

[ সেনাপতি প্রভৃতির প্রস্থান