রাজা ও রানী

প্রত্যেক প্রজার মুখ। কোন্‌ লাজে আজি

দেখা দিবে সবারে সে? মহারাজ, শোনো

নিবেদন। গীতবাদ্য বন্ধ করে দাও।

এ উৎসব উপহাস মনে হবে তার।

আজ রাত্রে দীপালোক দেখে ভাবিবে সে,

নিশীথতিমিরে পাছে লজ্জা ঢাকা পড়ে

তাই এত আলো। এ আলোক শুধু বুঝি

অপমানপিশাচের পরিহাস-হাসি।

দেবদত্তের প্রবেশ

  দেবদত্ত।  জয়োস্তু রাজন্‌। কুমারের অন্বেষণে

বনে বনে ফিরিয়াছি, পাই নাই দেখা।

আজ শুনিলাম নাকি আসিছেন তিনি

স্বেচ্ছায় নগরে ফিরি। তাই চলে এনু।

বিক্রমদেব। করিব রাজার মতো অভ্যর্থনা তারে।

তুমি হবে পুরোহিত অভিষেক-কালে।

পূর্ণিমানিশীথে আজ কুমারের সনে

ইলার বিবাহ হবে, করেছি তাহার

আয়োজন।

নগরের ব্রাহ্মণগণের প্রবেশ

   সকলে।           মহারাজ, জয় হোক।

    প্রথম।                                    করি

আশীর্বাদ, ধরণীর অধীশ্বর হও।

লক্ষ্মী হোন অচলা তোমার গৃহে সদা।

আজ যে আনন্দ তুমি দিয়েছ সবারে

বলিতে শকতি নাই — লহো মহারাজ,

কৃতজ্ঞ এ কাশ্মীরের কল্যাণ-আশিস।

রাজার মস্তকে ধান্যদূর্বা দিয়া আশীর্বাদ

বিক্রমদেব।  ধন্য আমি কৃতার্থ জীবন।

[ ব্রাহ্মণগণের প্রস্থান