শ্যামা
বজ্রসেন ও শ্যামার প্রবেশ

বজ্রসেন।  হৃদয় বসন্তবনে যে মাধুরী বিকাশিল

সেই প্রেম সেই মালিকায় রূপ নিল, রূপ নিল।

এই ফুলহারে প্রেয়সী তোমারে

বরণ করি

অক্ষয় মধুর সুধাময়

হোক মিলনবিভাবরী।

প্রেয়সী তোমায় প্রাণবেদিকায়

প্রেমের পূজায় বরণ করি॥

——

কহো কহো মোরে প্রিয়ে,

আমারে করেছ মুক্ত কী সম্পদ দিয়ে।

অয়ি বিদেশিনী,

তোমার কাছে আমি কত ঋণে ঋণী।

 শ্যামা। নহে নহে নহে– সে কথা এখন নহে।

সহচরী। নীরবে থাকিস সখী, ও তুই নীরবে থাকিস।

তোর প্রেমেতে আছে যে কাঁটা

তারে আপন বুকে বিঁধিয়ে রাখিস।

দয়িতেরে দিয়েছিলি সুধা,

আজিও তাহে মেটে নি ক্ষুধা–

এখনি তাহে মিশাবি কি বিষ।

যে জ্বলনে তুই মরিবি মরমে মরমে

কেন তারে বাহিরে ডাকিস।

বজ্রসেন।         কী করিয়া সাধিলে অসাধ্য ব্রত

  কহো বিবরিয়া।

জানি যদি প্রিয়ে, শোধ দিব

  এ জীবন দিয়ে এই মোর পণ॥

  শ্যামা।         তোমা লাগি যা করেছি

কঠিন সে কাজ,

আরো সুকঠিন আজ তোমারে সে কথা বলা।

বালক কিশোর উত্তীয় তার নাম,