প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
আপনি ভাঙিবে বাধা? পুরুষের মতো
যদি তুমি কার্যে দিতে হাত, আমি তবে
দয়ামায়া করিতাম ঘরে ব'সে ব'সে
অবসর বুঝে। এখন সময় নাই।
চন্দ্রসেন। অতি-ইচ্ছা চলে অতি-বেগে। দেখিতে না
পায় পথ, আপনারে করে সে নিষ্ফল।
বায়ুবেগে ছুটে গিয়ে মত্ত অশ্ব যথা
চূর্ণ করে ফেলে রথ পাষাণপ্রাচীরে।
প্রথম। কেমন হে খুড়ো, গোলা ভরে ভরে যে গম জমিয়ে রেখেছিলে, আজ বেচবার জন্যে এত তাড়াতাড়ি কেন?
দ্বিতীয়। না বেচলে কি আর রক্ষে আছে? এদিকে জালন্ধরের সৈন্য এল ব'লে। সমস্ত লুটে নেবে। আমাদের এই মহাজনদের বড়ো বড়ো গোলা আর মোটা মোটা পেট বেবাক ফাঁসিয়ে দেবে। গম আর রুটি দুয়েরই জায়গা থাকবে না!
মহাজন। আচ্ছা ভাই, আমোদ করে নে। কিন্তু শিগগির তোদের ওই দাঁতের পাটি ঢাকতে হবে। গুঁতো সকলেরই উপর পড়বে।
প্রথম। সেই সুখেই তো হাসছি বাবা! এবারে তোমায় আমায় একসঙ্গে মরব। তুমি রাখতে গম জমিয়ে, আর আমি মরতুম পেটের জ্বালায়। সেইটে হবে না। এবার তোমাকেও জ্বালা ধরবে। সেই শুকনো মুখখানি দেখে যেন মরতে পারি।
দ্বিতীয়। আমাদের ভাবনা কী ভাই? আমাদের আছে কী? প্রাণখানা এম্নেও বেশিদিন টিকবে না, অম্নেও বেশিদিন টিকবে না। একটা দিন কষে মজা করে নে ভাই!
প্রথম। ও জনার্দন, এতগুলি থলে এনেছ কেন? কিছু কিনবে নাকি?
জনার্দন। একেবারে বছরখানেকের মতো গম কিনে রাখব।
দ্বিতীয়। কিনলে যেন, রাখবে কোথায়?
জনার্দন। আজ রাত্তিরেই মামার বাড়ি পালাচ্ছি।
প্রথম। মামার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছলে তো! পথে অনেক মামা বসে আছে, আদর করে ডেকে নেবে।