শেষরক্ষা

নেপথ্যে গান

  মুখ-পানে চেয়ে দেখি, ভয় হয় মনে,

ফিরেছ কি ফের নাই বুঝিব কেমনে?

আসন দিয়েছি পাতি,   মালিকা রেখেছি গাঁথি,

  বিফল হল কি তাহা ভাবি খনে খনে।

 

গোধূলিলগনে পাখি ফিরে আসে নীড়ে,

ধানে-ভরা তরীখানি ঘাটে এসে ভিড়ে।

আজো কি খোঁজার শেষে

ফেরো নি আপন দেশে,

বিরামবিহীন তৃষা জ্বলে কি নয়নে?

 

চন্দ্রকান্ত। ওরে বিনু, এখনো মামলা চোকে নি, প্রিভিকৌন্সিলে নালিশ চলছে। তোর তরফের কৌঁসুলির কোনো জবাব তৈরি আছে? ‘ প্লীড্‌ গিল্‌টি ' নাকি।

বিনোদ। একরকম তাই। কিন্তু দাদা, আমাদের মোটা কণ্ঠে কথা জোটে তো সুর জোটে না।

চন্দ্র। তা হোক, হার মানতে পারব না। আচ্ছা, দে দেখি কথাটা ; কোনোমতে সবাই মিলে চেঁচামেচি করে চালিয়ে দিতে পারব।

বিনোদ। এই যে, আমার বইয়ে ছাপানো আছে।

চন্দ্রকান্ত। ধন্য কবি, ধন্য — নিদেন কালের উপযুক্ত সকল রকম বটিকা আগে থাকতেই তৈরি করে রেখেছ! কাফি সুরে ঠিক লাগবে —

গান

জয় করে তবু ভয় কেন তোর যায় না,

হায় ভীরু প্রেম, হায় রে!

আশার আলোয় তবুও ভরসা পায় না,

মুখে হাসি তবু চোখে জল না শুকায় রে!

বিরহের দাহ আজি হল যদি সারা

ঝরিল মিলনরসের শ্রাবণধারা,

তবুও এমন গোপন বেদনতাপে

অকারণ দুখে পরান কেন দুখায় রে?

যদি-বা ভেঙেছে ক্ষণিক মোহের ভুল

এখনো প্রাণে কি যাবে না মানের মূল?

যাহা খুঁজিবার সাঙ্গ হল তো খোঁজা,