চিত্রাঙ্গদা
চিত্রাঙ্গদার সহচর-সহচরীগণ
অর্জুনের প্রতি

এসো এসো পুরুষোত্তম, এসো এসো বীর মম!
           তোমার পথ চেয়ে আছে প্রদীপ জ্বালা।
           আজি  পরিবে বীরাঙ্গনার হাতে  দৃপ্ত ললাটে, সখা,
                    বীরের বরণমালা।
           ছিন্ন ক’রে দিবে সে তার শক্তির অভিমান,
           তোমার  চরণে করিবে দান  আত্ম-নিবেদনের ডালা–
                    চরণে করিবে দান।
           আজ  পরাবে বীরাঙ্গনা তোমার
                    দৃপ্ত ললাটে, সখা,
                        বীরের বরণমালা॥ স্বরলিপি
     সখী।          হে কৌন্তেয়,
               ভালো লেগেছিল ব’লে
           তব করযুগে সখী দিয়েছিল ভরি  সৌন্দর্যের ডালি
           নন্দনকানন হতে পুষ্প তুলে এনে  বহু সাধনায়।
                 যদি সাঙ্গ হল পূজা
               তবে আজ্ঞা করো, প্রভু,
           নির্মাল্যের সাজি  থাক্‌ পড়ে মন্দিরবাহিরে।
           এইবার প্রসন্ন নয়নে চাও  সেবিকার পানে॥


চিত্রাঙ্গদার প্রবেশ
 চিত্রাঙ্গদা।   আমি চিত্রাঙ্গদা, আমি রাজেন্দ্রনন্দিনী।
                নহি দেবী, নহি সামান্যা নারী।
           পূজা করি মোরে রাখিবে ঊর্ধ্বে সে নহি নহি,
           হেলা করি মোরে রাখিবে পিছে সে নহি নহি।
           যদি পার্শ্বে রাখ মোরে সঙ্কটে সম্পদে,
           সম্মতি দাও যদি কঠিন ব্রতে  সহায় হতে
                 পাবে তবে তুমি চিনিতে মোরে।