চণ্ডালিকা
               এই-যে নাচে এই-যে নাচে তরঙ্গ তাহার
                      আমার জীবন জুড়ে নাচে–
                      টলোমলো করে আমার প্রাণ,
                         আমার জীবন জুড়ে নাচে।
             ওগো,  কী আনন্দ, কী আনন্দ, কী পরমমুক্তি।
                        একটি গণ্ডূষ জল–
             আমার  জন্মজন্মান্তরের কালি ধুয়ে দিল গো
                         শুধু  একটি গণ্ডূষ জল॥ স্বরলিপি


মেয়ে-পুরুষের প্রবেশ
ফসল কাটার আহ্বান-গান

    মাটি তোদের ডাক দিয়েছে– আয় রে চলে
                      আয় আয় আয়॥
               ডালা যে তার ভরেছে আজ পাকা ফসলে–
                      মরি  হায় হায় হায়।
                      হাওয়ার নেশায় উঠল মেতে
                      দিগ্‌বধূরা ফসল-ক্ষেতে,
               রোদের সোনা ছড়িয়ে পড়ে ধরার আঁচলে–
                      মরি  হায় হায় হায়।
                  মাঠের বাঁশি শুনে শুনে আকাশ খুশি হল।
         ঘরেতে আজ কে রবে গো,  খোলো,  খোলো দুয়ার খোলো।
                          খোলো,  খোলো দুয়ার খোলো।
                      আলোর হাসি উঠল জেগে,
                      পাতায় পাতায় চমক লেগে
               বনের খুশি ধরে না গো, ওই-যে উথলে–
                           মরি  হায় হায় হায়॥ স্বরলিপি
         প্রকৃতি।  ওগো  ডেকো না মোরে ডেকো না।
                 আমার  কাজ-ভোলা মন, আছে দূরে কোন্‌–
                           করে স্বপনের সাধনা।
                       ধরা দেবে না অধরা ছায়া,
                       রচি গেছে মনে মোহিনী মায়া–