চণ্ডালিকা
মা। বাছা, তুই যে আমার বুক-চেরা ধন।
তোর কথাতেই চলেছি পাপের পথে পাপীয়সী!
হে পবিত্র মহাপুরুষ,
আমার অপরাধের শক্তি যত
ক্ষমার শক্তি তোমার আরো অনেক গুণে বড়ো।
তোমারে করিব অসম্মান–
তবু প্রণাম, তবু প্রণাম, তবু প্রণাম॥
স্বরলিপি
প্রকৃতি। দোষী করো
আমায়, দোষী করো।
ধুলায়-পড়া ম্লান কুসুম পায়ের তলায় ধরো।
অপরাধে ভরা ডালি
নিজ হাতে করো খালি, আহা,
তার পরে সেই শূন্য ডালায় তোমার করুণা ভরো–
আমায় দোষী করো।
তুমি উচ্চ, আমি তুচ্ছ ধরব তোমায় ফাঁদে
আমার অপরাধে।
আমার দোষকে তোমার পুণ্য
করবে তো কলঙ্কশূন্য গো–
ক্ষমায় গেঁথে সকল ত্রুটি গলায় তোমার পরো॥
স্বরলিপি
মা। কী অসীম সাহস তোর মেয়ে॥
স্বরলিপি
প্রকৃতি। আমার সাহস!
তাঁর সাহসের নাই তুলনা।
কেউ যে কথা বলতে পারে নি
তিনি ব’লে দিলেন কত সহজে–
জল দাও, জল দাও, জল দাও।
ওই একটু বাণী তার দীপ্তি কত–
আলো করে দিল আমার সারা জন্ম–
তার দীপ্তি কত!
বুকের উপর কালো পাথর চাপা ছিল যে,
সেটাকে ঠেলে দিল–
উথলি উঠল রসের ধারা॥
স্বরলিপি
মা। ওরা কে যায় পীতবসন-পরা সন্ন্যাসী॥
স্বরলিপি