লেখন

মাটির প্রদীপ সারা দিবসের অবহেলা লয় মেনে,

     রাত্রে শিখার চুম্বন পাবে জেনে॥                             ৩৬

 

দিনের রৌদ্রে আবৃত বেদনা বচনহারা,

আঁধারে যে তাহা জ্বলে রজনীর দীপ্ত তারা॥                      ৩৭  

 

গানের কাঙাল এ বীণার তার বেসুরে মরিছে কেঁদে।

          দাও তার সুর বেঁধে॥                                  ৩৮

 

নিভৃত প্রাণের নিবিড় ছায়ায় নীরব নীড়ের-’পরে

কথাহীন ব্যথা একা একা বাস করে॥                            ৩৯

 

আলো যবে ভালোবেসে মালা দেয় আঁধারের গলে,

          সৃষ্টি তারে বলে॥                                      ৪০

 

আলোকের স্মৃতি ছায়া বুকে করে রাখে,

          ছবি বলি তাকে॥                                     ৪১

 

ফুলে ফুলে যবে ফাগুন আত্মহারা

প্রেম যে তখন মোহন মদের ধারা।

কুসুম ফোটার দিন হলে অবসান

তখন সে প্রেম প্রাণের অন্নপান॥                                ৪২

 

          দিন হয়ে গেল গত।

শুনিতেছি বসে নীরব আঁধারে

আঘাত করিছে হৃদয়দুয়ারে

দূর প্রভাতের ঘরে-ফিরে-আসা

          পথিক দুরাশা যত॥                                 ৪৩

 

জীর্ণ জয়তোরণ-ধূলি-’পর

ছেলেরা রচে ধূলির খেলাঘর॥                                 ৪৪