লেখন

        নিমেষকালের খেয়ালের লীলাভরে

        অনাদরে যাহা দান কর অকাতরে

        শরৎ-রাতের খসে-পড়া তারা - সম

        উজ্জ্বলি উঠে প্রাণের আঁধারে মম॥                    ৮৫

 

মোর কাগজের খেলার নৌকা ভেসে চলে যায় সোজা

বহিয়া আমার অকাজ দিনের অলস বেলার বোঝা॥                 ৮৬

 

অকালে যখন বসন্ত আসে শীতের আঙিনা-’পরে

            ফিরে যায় দ্বিধাভরে।

আমের মুকুল ছুটে বাহিরায়, কিছু না বিচার করে —

            ফেরে না সে, শুধু মরে॥                             ৮৭

 

হে প্রেম, যখন ক্ষমা কর তুমি সব অভিমান ত্যেজে

             কঠিন শাস্তি সে যে।

হে মাধুরী, তুমি কঠোর আঘাতে যখন নীরব রহ

            সেই বড়ো দুঃসহ॥                                   ৮৮

 

    দেবতার সৃষ্টি বিশ্ব মরণে নূতন হয়ে উঠে।

    অসুরের অনাসৃষ্টি আপন অস্তিত্বভারে টুটে॥                        ৮৯

 

বৃক্ষ সে তো আধুনিক, পুষ্প সেই অতি পুরাতন —

আদিম বীজের বার্তা সেই আনে করিয়া বহন॥                     ৯০

 

নূতন প্রেম সে ঘুরে ঘুরে মরে শূন্য আকাশমাঝে,

পুরানো প্রেমের রিক্ত বাসায় বাসা তার মেলে না যে॥              ৯১

 

        সকল চাঁপাই দেয় মোর প্রাণে আনি

        চিরপুরাতন একটি চাঁপার বাণী॥                                 ৯২

  

দুঃখের আগুন কোন্‌ জ্যোতির্ময় পথরেখা টানে

       বেদনার পরপার - পানে॥                                ৯৩