লেখন

       ফেলে যবে যাও একা থুয়ে

আকাশের নীলিমায় কার ছোঁওয়া যায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে।

       বনে বনে বাতাসে বাতাসে

চলার আভাস কার শিহরিয়া উঠে ঘাসে ঘাসে।                    ৯৪  

 

উষা একা একা আঁধারের দ্বারে ঝংকারে বীণাখানি,

যেমনি সূর্য বাহিরিয়া আসে মিলায় ঘোমটা টানি॥                ৯৫

 

       শিশির রবিরে শুধু জানে

    বিন্দুরূপে আপন বুকের মাঝখানে॥                         ৯৬

 

    আপন অসীম নিষ্ফলতার পাকে

    মরু চিরদিন বন্দী হইয়া থাকে॥                               ৯৭     

 

ধরণীর যজ্ঞ-অগ্নি বৃক্ষরূপে শিখা তার তুলে,

       স্ফুলিঙ্গ ছড়ায় ফুলে ফুলে॥                           ৯৮

 

       ফুরাইলে দিবসের পালা

আকাশ সূর্যেরে জপে লয়ে তারকার জপমালা॥                  ৯৯

 

দিনে দিনে মোর কর্ম আপন দিনের মজুরি পায়।

প্রেম সে আমার চিরদিবসের চরম মূল্য চায়॥                  ১০০

 

কর্ম আপন দিনের মজুরি রাখিতে চাহে না বাকি।

যে প্রেমে আমার চরম মূল্য তারি তরে চেয়ে থাকি॥           ১০১

 

আলোকের সাথে মেলে আঁধারের ভাষা,

       মেলে না কুয়াশা॥                                    ১০২    

 

বিদেশে অচেনা ফুল পথিক কবিরে ডেকে কহে —

‘যে দেশ আমার, কবি, সেই দেশ তোমারো কি নহে?'      ১০৩