পলাতকা

বাইরে কোথাও লুকিয়ে থাকত, বলত, “ ক্ষুধা নাই। ”

          অসুখ করলে দিত চাপা ; দেবতা মানুষ কারে

               একটুমাত্র জবাব করা ছাড়ল একেবারে।

               প্রথম যখন ইস্কুলেতে প্রাইজ পেল এরা

                    ক্লাসে সবার সেরা,

               অপূর্ব আর পূর্ণ এল শূন্যহাতে বাড়ি।

                   প্রমাদ গনি, দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়ি

                মা ডেকে কয় কানাই বলাইয়েরে,—

                   “ ওরে বাছা, ওদের হাতেই দে রে

                     তোদের প্রাইজ দুটি।

                      তার পরে যা ছুটি

            খেলা করতে চৌধুরিদের ঘরে।

                          সন্ধ্যা হলে পরে

আসিস ফিরে, প্রাইজ পেলি কেউ যেন না শোনে। ”

            এই বলে মা নিয়ে ঘরের কোণে

                       দুটি আসন পেতে

আপন হাতের খইয়ের মোওয়া দিল তাদের খেতে।

 

               এমনি করে অপমানের তলে

দুঃখদহন বহন করে দুটি ভাইয়ে মানুষ হয়ে চলে।

                        এই জীবনের ভার

যত হালকা হতে পারে করলে এরা চূড়ান্ত তাহার।

          সবার চেয়ে ব্যথা এদের মায়ের অসম্মান —

                   আগুন তারি শিখার সমান

          জ্বলছে এদের প্রাণ - প্রদীপের মুখে।

          সেই আলোটি দোঁহায় দুঃখে সুখে

          যাচ্ছে নিয়ে একটি লক্ষ্যপানে —

      জননীরে করবে জয়ী সকল মনে প্রাণে।

 

                   কানাই বলাই

          কালেজেতে পড়ছে দুটি ভাই।

          এমন সময় গোপনে এক রাতে