মানসী
মেঘদূত পড়ে মনে আষাঢ়ের গাথা।
পড়ে মনে
বরিষার
বৃন্দাবন অভিসার,।
একাকিনী রাধিকার চকিত চরণ—
শ্যামল
তমালতল,
নীল যমুনার জল,
আর, দুটি ছলছল নলিননয়ন।
এ ভরা বাদর
দিনে
কে বাঁচিবে শ্যাম বিনে,
কাননের পথ চিনে মন যেতে চায়।
বিজন
যমুনাকূলে
বিকশিত নীপমূলে
কাঁদিয়া
পরান বুলে বিরহব্যথায়।
দোহাই কল্পনা
তোর,
ছিন্ন কর্ মায়াডোর,
কবিতায় আর মোর নাই কোনো দাবি।
বিরহ, বকুল,
আর
বৃন্দাবন স্তূপকার
সেগুলো চাপাই কার স্কন্ধে তাই ভাবি।
এখন ঘরের
ছেলে
বাঁচি ঘরে ফিরে গেলে,
দু-দণ্ড সময় পেলে নাবার খাবার
কলম হাঁকিয়ে
ফেরা
সকল রোগের সেরা,
তাই কবি-মানুষেরা অস্থিচর্মসার।
কলমের
গোলামিটা
আর নাহি লাগে মিঠা,
তার চেয়ে দুধ-ঘি’টা বহুগুণে শ্রেয়।
সাঙ্গ করি
এইখানে—
শেষে বলি কানে কানে,
পুরানো বন্ধুর পানে মুখ তুলে চেয়ো।