আলোতে দেখায় কালো কলঙ্কের মতো।
ভাঙিয়া দেখিলে ছিছি নারীর হৃদয়!
লাজে ভয়ে
থর্থর্
ভালোবাসা-সকাতর
তার লুকাবার ঠাঁই কাড়িলে নিদয়!
আজিও তো সেই আসে বসন্ত শরৎ।
বাঁকা সেই
চাঁপা-শাখে সোনা-ফুল
ফুটে থাকে,
সেই তারা তোলে এসে— সেই ছায়াপথ।
সবাই যেমন ছিল, আছে অবিকল—
সেই তারা কাঁদে হাসে, কাজ করে,
ভালোবাসে,
করে পূজা, জ্বালে দীপ, তুলে আনে জল।
কেহ উঁকি মারে নাই তাহাদের প্রাণে—
ভাঙিয়া দেখে নি
কেহ
হৃদয় গোপন গেহ,
আপন মরম তারা আপনি না জানে।
আমি আজ ছিন্ন ফুল রাজপথে পড়ি,
পল্লবের
সুচিকন
ছায়াস্নিগ্ধ আবরণ
তেয়াগি ধুলায় হায় যাই গড়াগড়ি।
নিতান্ত ব্যথায় ব্যথী ভালোবাসা দিয়ে
সযতনে
চিরকাল
রচি দিবে অন্তরাল,
নগ্ন করেছিনু প্রাণ সেই আশা নিয়ে।
মুখ ফিরাতেছ সখা, আজ কী বলিয়া!
ভুল করে এসেছিলে? ভুলে
ভালোবেসেছিলে?
ভুল ভেঙে গেছে, তাই যেতেছ চলিয়া?
তুমি তো ফিরিয়া যাবে আজ বই কাল—
আমার যে
ফিরিবার
পথ রাখ নাই আর,
ধূলিসাৎ করেছ যে প্রাণের আড়াল।