অস্তসখী

রজনী একাদশী

        পোহায় ধীরে ধীরে,

রঙিন মেঘমালা

         উষারে বাঁধে ঘিরে।

আকাশে ক্ষীণ শশী

        আড়ালে যেতে চায়,

দাঁড়ায়ে মাঝখানে

        কিনারা নাহি পায়।

 

এ-হেন কালে যেন

        মায়ের পানে মেয়ে

রয়েছে শুকতারা

        চাঁদের মুখে চেয়ে।

কে তুমি মরি মরি

        একটুখানি প্রাণ।

এনেছ কী না জানি

        করিতে ওরে দান।

 

মহিমা যত ছিল

        উদয়-বেলাকার

যতেক সুখসাথি

        এখনি যাবে যার,

পুরানো সব গেল—

        নূতন তুমি একা

বিদায়-কালে তারে

        হাসিয়া দিলে দেখা।

 

ও চাঁদ যামিনীর

        হাসির অবশেষ,

ও শুধু অতীতের

            সুখের স্মৃতিলেশ।