কে তোমারে দিল প্রাণ

                      রে পাষাণ।

কে তোমারে জোগাইছে এ অমৃতরস

                      বরষ বরষ।

তাই দেবলোকপানে নিত্য তুমি রাখিয়াছ ধরি

                      ধরণীর আনন্দমঞ্জরী ;

তাই তো তোমারে ঘিরি বহে বারো মাস

অবসন্ন বসন্তের বিদায়ের বিষণ্ন নিশ্বাস ;

মিলনরজনীপ্রান্তে ক্লান্ত চোখে

                        ম্লান দীপালোকে

ফুরায়ে গিয়াছে যত অশ্রু-গলা গান

তোমার অন্তরে তারা আজিও জাগিছে অফুরান,

হে পাষাণ, অমর পাষাণ।

 

বিদীর্ণ হৃদয় হতে বাহিরে আনিল বহি

              সে - রাজবিরহী

বিরহের রত্নখানি ;

              দিল আনি

বিশ্বলোক-হাতে

              সবার সাক্ষাতে।

নাই সেথা সম্রাটের প্রহরী সৈনিক,

     ঘিরিয়া ধরেছে তারে দশ দিক।

              আকাশ তাহার'পরে

                     যত্নভরে

       রেখে দেয় নীরব চুম্বন

                            চিরন্তন ;

      প্রথম মিলনপ্রভা

                          রক্তশোভা

                          দেয় তারে প্রভাত-অরুণ,

      বিরহের ম্লানহাসে

                          পাণ্ডুভাসে