পরিচয়

             বয়স ছিল কাঁচা,

         বিদ্যালয়ের মধ্যপথের থেকে

                    বার হয়েছি আই-এ ' র পালা সেরে।

         মুক্ত বেণী পড়ল বাঁধা খোঁপার পাকে,

                         নতুন রঙের শাড়ি দিয়ে

               দেহ ঘিরে যৌবনকে নতুন নতুন ক ' রে

                    পেয়েছিলুম বিচিত্র বিস্ময়ে।

 

অচিন জগৎ বুকের মধ্যে পাঠিয়ে দিত ডাক

                      কখন থেকে থেকে,

দুপুরবেলায় অকাল ধারায় ভিজে মাটির আতপ্ত নিশ্বাসে,

          চৈত্ররাতের মদির ঘন নিবিড় শূন্যতায়,

               ভোরবেলাকার তন্দ্রাবিবশ দেহে

ঝাপসা আলোয় শিশির-ছোঁয়া আলস-জড়িমাতে।

যে-বিশ্ব মোর স্পষ্ট জানার শেষের সীমায় থাকে

     তারি মধ্যে, গুণী, তুমি অচিন সবার চেয়ে

          তোমার আপন রচন-অন্তরালে।

     কখনো-বা মাসিকপত্রে চমক দিত প্রাণে

          অপূর্ব এক বাণীর ইন্দ্রজাল,

কখনো-বা আলগা-মলাট বইয়ের দাগি পাতায়

হাজারোবার-পড়া লেখায় পুরনো কোন্‌ লাইন

          হানত বেদন বিদ্যুতেরই মতো,

     কখনো-বা বিকেলবেলায় ট্রামে চ ' ড়ে

          হঠাৎ মনে উঠত গুনগুনিয়ে

               অকারণে একটি তোমার শ্লোক।

 

অচিন কবি, তোমার কথার ফাঁকে ফাঁকে

     দেখা যেত একটি ছায়াছবি —

          স্বপ্ন-ঘোড়ায়-চড়া তুমি খুঁজতে বেরিয়েছ

               তোমার মানসীকে