সানাই

     পাখায় লাগল উড়ুক্ষু পাগলামি।

          পাখির পায়ে এঁটে দিলেম ফাঁস

     অভিমানের ব্যঙ্গস্বরে ,

          বিচ্ছেদেরই ক্ষণিক বঞ্চনায়,

               কটুরসের তীব্র মাধুরীতে।

 

এমন সময় বেড়াজালের ফাঁকে

      পড়ল এসে আরেক মায়াবিনী ;

          রণিতা তার নাম।

     এ কথাটা হয়তো জান —

     মেয়েতে মেয়েতে আছে বাজি রাখার পণ

          ভিতরে ভিতরে।

     কটাক্ষে সে চাইল আমায় , তারে চাইলুম আমি,

          পাশা ফেলল নিপুণ হাতের ঘুরুনিতে,

                    এক দানেতেই হল তারি জিত।

     জিত? কে জানে তাও সত্য কি না।

          কে জানে তা নয় কি তারি

               দারুণ হারের পালা।

 

     সেদিন আমি মনের ক্ষোভে

          বলেছিলুম কপালে কর হানি,

               চিনব ব ' লে এলেম কাছে

          হল বটে নিংড়ে নিয়ে চেনা

               চরম বিকৃতিতে।

     কিন্তু তবু ধিক্‌ আমারে, যতই দুঃখ পাই

          পাপ যে মিথ্যে কথা।

আপনাকে তো ভুলিয়েছিলুম যেই তোমারে এলেম ভোলাবারে ;

          ঘুলিয়ে-দেওয়া ঘূর্ণিপাকে সেই কি চেনার পথ।

আমার মায়ার জালটা ছিঁড়ে অবশেষে আমায় বাঁচালে যে ;

          আবার সেই তো দেখতে পেলেম

                   আজো তোমার স্বপ্ন-ঘোড়ায়-চড়া

          নিত্যকালের সন্ধান সেই মানসসুন্দরীকে