২২

মধ্যাহ্নে নগর-মাঝে পথ হতে পথে

কর্মবন্যা ধায় যবে উচ্ছলিত স্রোতে

শত শাখা-প্রশাখায়, নগরের নাড়ী

উঠে স্ফীত তপ্ত হয়ে, নাচে সে আছাড়ি

পাষাণভিত্তির ’পরে — চৌদিক আকুলি

ধায় পান্থ, ছুটে রথ, উড়ে শুষ্ক ধুলি —

 

 

তখন সহসা হেরি মুদিয়া নয়ন

মহাজনারণ্য-মাঝে অনন্ত নির্জন

তোমার আসনখানি — কোলাহল-মাঝে

তোমার নিঃশব্দ সভা নিস্তব্ধে বিরাজে।

সব দুঃখে, সব সুখে, সব ঘরে ঘরে,

সব চিত্তে সব চিন্তা সব চেষ্টা ’পরে

যতদূর দৃষ্টি যায় শুধু যায় দেখা,

হে সঙ্গবিহীন দেব, তুমি বসি একা!