পুনশ্চ

ইস্কুলে তো গেল,

      কিন্তু ছুটির দিন বেড়ে যায় পড়ার দিনের চেয়ে।

কতদিন স্কুলের বাস্‌ অমনি যেত ফিরে।

         সে চক্রান্তে বাপেরও ছিল যোগ।

 

 

ফিরে বছর মাসি এল ছুটিতে;

  বললে, ‘এমন করে চলবে না।

      নিজে ওকে যাব নিয়ে,

  বোর্ডিঙে দেব বেনারসের স্কুলে,

      ওকে বাঁচানো চাই বাপের স্নেহ থেকে। '

মাসির সঙ্গে গেল চলে।

      অশ্রুহীন অভিমান

         নিয়ে গেল বুক ভরে

             যেতে দিলেম বলে।

 

 

বেরিয়ে পড়লেম বদ্রিনাথের তীর্থযাত্রায়

      নিজের কাছ থেকে পালাবার ঝোঁকে।

  চার মাস খবর নেই।

মনে হল গ্রন্থি হয়েছে আলগা

         গুরুর কৃপায়।

  মেয়েকে মনে মনে সঁপে দিলেম দেবতার হাতে,

      বুকের থেকে নেমে গেল বোঝা।

চার মাস পরে এলেম ফিরে।

  ছুটেছিলেম অমলিকে দেখতে কাশীতে —

      পথের মধ্যে পেলেম চিঠি —

         কী আর বলব,

             দেবতাই তাকে নিয়েছে।

যাক সে-সব কথা।

  অমলার ঘরে বসে সেই আখোলা চিঠি খুলে দেখি,

         তাতে লেখা —

  ‘তোমাকে দেখতে বড্‌ডো ইচ্ছে করছে'।

             আর কিছুই নেই।