পুনশ্চ

           শুনে হেসেছিলে তুমি।

    পাঞ্চজন্যে লিখেছিল রতিকান্ত ঘোষ —

        এত দিনে বাঙলা ভাষায়

           সত্য লেখা পাওয়া গেল

                   ইত্যাদি ইত্যাদি।

এবার হাস নি তুমি।

        তার পর থেকে

            তোমার আমার মাঝখানে

               খ্যাতির কাঁটার বেড়া ক্রমে ঘন হল।

 

  এখন আমার কথা শোনো।

           আমার এ খ্যাতি

        আধুনিক মত্ততার ইঞ্চিদুই পলিমাটি -' পরে

               হঠাৎ - গজিয়ে - ওঠা।

                স্টুপিড জানে না —

        মূল এর বেশি দূর নয়;

           ফল এর কোনোখানে নেই,

               কেবলই পাতার ঘটা।

তোমার যে পঞ্চু সে তো বাঙলার ডন্‌কুইক্সোট,

               তার যা মৌতাত

        সে যে জন্মখ্যাপাদের মগজে মগজে

               দেশে দেশে দেখা দেয় চিরকাল।

        আমার এ কুঞ্জলাল তুবড়ির মতো

                   জ্বলে আর নেবে —

               বোকাদের চোখে লাগে ধাঁধা।

        আমি জানি তুমি কতখানি বড়ো।

    এ ফাঁকা খ্যাতির চোরা মেকি পয়সায়

                   বিকাব কি বন্ধুত্ব তোমার।

        কাগজের মোড়কটা খুলে দেখো,

                   আমার লেখার দগ্ধশেষ।

           আজ বাদে কাল হ'ত ধুলো,

                   আজ হোক ছাই।