খ্যাতি

   ভাই নিশি,

        তখন উনিশ আমি, তুমি হবে বুঝি

    পঁচিশের কাছাকাছি।

        তোমার দুখানা বই ছাপা হয়ে গেছে —

    ‘ক্ষান্তপিসি,' তার পরে ‘পঞ্চুর মৌতাত'।

তা ছাড়া মাসিকপত্র কালচক্রে ক্রমে বের হল

        ‘রক্তের আঁচড়'।

           হুলুস্থূল পড়ে গেল দেশে।

               কলেজের সাহিত্যসভায়

           সেদিন বলেছিলেম বঙ্কিমের চেয়ে তুমি বড়ো,

                   তাই নিয়ে মাথা - ফাটাফাটি।

           আমাকে খ্যাপাত দাদা নিশি - পাওয়া ব'লে।

                       কলেজের পালা - শেষে

                          করেছি ডেপুটিগিরি,

               ইস্তফা দিয়েছি কাজে স্বদেশীর দিনে।

                   তার পর থেকে, যা আমার

           সৌভাগ্য অভাবনীয় তাই ঘটে গেল —

                       বন্ধুরূপে পেলেম তোমাকে।

               কাছে পেয়ে কোনোদিন

                       তোমাকে করি নি খাটো —

    ছোটো বড়ো নানা ত্রুটি সেও আমি হেসে ভালোবেসে

           তোমার মহত্ত্বে সবই মিলিয়ে নিয়েছি।

এ ধৈর্য, এ পূর্ণদৃষ্টি, এও যে তোমারি কাছে শেখা।

               দোষে ভরা অসামান্য প্রাণ,

        সে চরিত্র - রচনায় সব চেয়ে ওস্তাদি তোমার

                           সে তো আমি জানি।

  

 

  তার পরে কতবার অনুরোধ করেছ কেবলই —

           বলেছিলে, ‘লেখো, লেখো, গল্প লেখো।