নিমন্ত্রণ

মনে পড়ে, যেন এককালে লিখিতাম

          চিঠিতে তোমারে প্রেয়সী অথবা প্রিয়ে।

একালের দিনে শুধু বুঝি লেখে নাম—

          থাক্‌ সে কথায়, লিখি বিনা নাম দিয়ে।

তুমি দাবি কর কবিতা আমার কাছে

          মিল মিলাইয়া দুরূহ ছন্দে লেখা,

আমার কাব্য তোমার দুয়ারে যাচে

          নম্র চোখের কম্প্র কাজলরেখা।

সহজ ভাষায় কথাটা বলাই শ্রেয়—

          যে - কোনো ছুতায় চলে এসো মোর ডাকে,

সময় ফুরোলে আবার ফিরিয়া যেয়ো,

          বোসো মুখোমুখি যদি অবসর থাকে।

গৌরবরন তোমার চরণমূলে

          ফল্‌সাবরন শাড়িটি ঘেরিবে ভালো ;

বসনপ্রান্ত সীমন্তে রেখো তুলে,

          কপোলপ্রান্তে সরু পাড় ঘন কালো।

 

একগুছি চুল বায়ু - উচ্ছ্বাসে কাঁপা

          ললাটের ধারে থাকে যেন অশাসনে।

ডাহিন অলকে একটি দোলনচাঁপা

          দুলিয়া উঠুক গ্রীবাভঙ্গির সনে।

বৈকালে গাঁথা যূথীমুকুলের মালা

          কণ্ঠের তাপে ফুটিয়া উঠিবে সাঁঝে ;

দূরে থাকিতেই গোপনগন্ধ - ঢালা

          সুখসংবাদ মেলিবে হৃদয় মাঝে।

এই সুযোগেতে একটুকু দিই খোঁটা—

          আমারই দেওয়া সেই ছোট্ট চুনির দুল,

রক্তে জমানো যেন সে অশ্রুর ফোঁটা,

           কতদিন সেটা পরিতে করেছ ভুল।