এক

জীবনে নানা সুখদুঃখের

এলোমেলো ভিড়ের মধ্যে

     হঠাৎ কখনো কাছে এসেছে

সুসম্পূর্ণ সময়ের ছোটো একটু টুকরো।

গিরিপথের নানা পাথর-নুড়ির মধ্যে

     যেন আচমকা কুড়িয়ে-পাওয়া একটি হীরে।                 

কতবার ভেবেছি গেঁথে রাখব

                      ভারতীর গলার হারে ;

                সাহস করি নি,

                            ভয় হয়েছে কুলোবে না ভাষায়।

          ভয় হয়েছে প্রকাশের ব্যগ্রতায়

                            পাছে সহজের সীমা যায় ছাড়িয়ে।

 

                ছিলেম দার্জিলিঙে,

                   সদর রাস্তার নীচে এক প্রচ্ছন্ন বাসায়।

                সঙ্গীদের উৎসাহ হল

                       রাত কাটাবে সিঞ্চল পাহাড়ে।

ভরসা ছিল না সন্ন্যাসী গিরিরাজের নির্জন সভার ' পরে —

কুলির পিঠের উপরে চাপিয়েছি নিজেদের সম্বল থেকেই

        অবকাশ-সম্ভোগের উপকরণ।

সঙ্গে ছিল একখানা এস্‌রাজ, ছিল ভোজ্যের পেটিকা,

        ছিল হো হো করবার অদম্য উৎসাহী যুবক,

টাট্টুর উপর চেপেছিল আনাড়ি নবগোপাল,

       তাকে বিপদে ফেলবার জন্যে ছিল ছেলেদের কৌতুক।

           সমস্ত আঁকাবাঁকা পথে

                           বেঁকে বেঁকে ধ্বনিত হল অট্টহাস্য।

শৈলশৃঙ্গবাসের শূন্যতা পূরণ করব কজনে মিলে,

          সেই রস জোগান দেবার অধিকারী আমরাই

                     এমন ছিল আমাদের আত্মবিশ্বাস।

অবশেষে চড়াই-পথ যখন শেষ হল