প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
কোথাও গরুতে খেতেছে ঘাস।
কোথাও বৃহৎ অশথ গাছে
পাখি শিস দিয়ে দিয়ে নাচে।
কোথাও রাখাল ছেলের দলে
খেলা করিছে গাছের তলে।
সেথা মহিষের দল থাকে
তারা লুটায় ( wallow ) নদীর পাঁকে।
যত বুনো বরা সেথা ফেরে,
তারা দাঁত ( tusk ) দিয়ে মাটি চেরে।
সেথা শেয়াল লুকায়ে থাকে
রাতে হুয়া হুয়া ক'রে ডাকে।
যেদিন পূরণিমা রাত আসে
চাঁদ আকাশ জুড়িয়া হাসে –
সবাই ঘুমায় কুটীরতলে,
তরী একটিও নাহি চলে,
গাছে পাতাটিও নাহি নড়ে
জলে নাহি ঢেউ ওঠে পড়ে।
হোথায় গহন গভীর বন
তাহে নাহি লোক নাহি জন,
শুধু কুমীর নদীর ধারে
সুখে রোদ পোহাইছে পাড়ে।
বাঘ ফিরিতেছে ঝোপে ঝাপে,
ঘাড়ে পড়ে আসি এক লাফে।
কোথায় দেখা যায় চিতা বাঘ,
তাহার গায়ে চাকা চাকা দাগ।
সূর্য্য পশ্চিমে অস্ত যায়। গাছের তলায় অন্ধকার। পুকুরের জল কালো দেখাচ্ছে। বুড়ী নদীর ধারে চুপড়ি নিয়ে শাক তুলছে। হাট থেকে কানাই ফিরে আসে। চাষীরা মাঠের থেকে ফিরে আস্ছে। সন্ধ্যার তারা জ্বল্ছে। ছেলেরা তাদের মার কাছে এল। মন্দিরে ঘন্টা বাজছে। মেয়েরা ঘরের দুয়ারে প্রদীপ জ্বালল। পাখিরা বাসায় ফিরে এসেছে। শেয়ালগুলো জঙ্গলে ডাক্ছে। বাদুরগুলো দলে দলে উড়ে চলেছে।