শৈশবসঙ্গীত
                  করিতে সে এ-পাশ ও-পাশ,
          হেরিয়ে করুণাময়               সুরেশের আঁখিদ্বয়—
                  অনেক যাতনা হ’ত হ্রাস।
          ফল-মূল-অন্বেষণে—    যুবা যবে যেত বনে
                  একেলা ঠেকিত ললিতার।
          চাহিত উৎসুকহিয়া       প্রতি শব্দে চমকিয়া,
                  সমীরণে নড়িলে দুয়ার।
          বনে বনে বিহরিয়া—        ফুল ফল আহরিয়া
                  সুরেশ আসিত যবে ফিরে—
          আঁখি পাতা বিমুদিত—  অতি মৃদু উঠাইত,
                  হাসিটি উঠিত ফুটি ধীরে।
          দিন রাত্রি নাহি মানি—   বনৌষধি তুলি আনি
                  সুরেশ করিছে সেবা তার।
          রোগ চলি গেল ধীরে,বল ক্রমে পেলে ফিরে,
                 সুস্থ হ’ল দেহ ললিতার।
          রোগশয্যা তেয়াগিয়া—   মুক্ত সমীরণে গিয়া,
                  মনসুখে বনে বনে ফিরি
          পাখীর সঙ্গীত শুনি—        সিন্ধুর তরঙ্গ গুনি
                  জীবনে জীবন এল ফিরি।
                             . . .

চতুর্থ সর্গ

বসন্তসমীর আসি, কাননের কানে কানে

প্রাণের উচ্ছ্বাস ঢালে নব যৌবনের গানে।

এক ঠাঁই পাশাপাশি ফুটে ফুল রাশি রাশি—

গলাগলি ফুলে ফুলে, গায়ে গায়ে ঢলাঢলি।

খেলি প্রতি ফুল-’পরে সুরভিরাশির ভরে

শ্রান্ত সমীরণ পড়ে প্রতি পদে টলি টলি।

কোথায় ডাকিছে পাখী, খুঁজিয়া না পায় আঁখি—