রাজা

ঠাকুরদা। না ভাই, আজ আমার এইখানেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চলা। সকলের চলাচলেই আমার মন ছুটছে। তবে আর কী; এইবারে শুরু করা যাক।

সকলের গান

মোদের    কিছু নাই রে নাই

আমরা    ঘরে বাইরে গাই—

                 তাইরে নাইরে নাইরে না।

যতই    দিবস যায় রে যায়

         গাই রে সুখে হায় রে হায়—

                তাইরে নাইরে নাইরে না।

যারা    সোনার চোরাবালির ’পরে

         পাকা ঘরের ভিত্তি গড়ে

তাদের    সামনে মোরা গান গেয়ে যাই—

                তাইরে নাইরে নাইরে না।

যখন    থেকে থেকে গাঁঠের পানে,

         গাঁঠ-কাটারা দৃষ্টি হানে

তখন    শূন্য ঝুলি দেখায়ে গাই—

                তাইরে নাইরে নাইরে না।

যখন    দ্বারে আসে মরণ-বুড়ি

            মুখে তাহার বাজাই তুড়ি,

তখন    তান দিয়ে গান জুড়ি রে ভাই—

                তাইরে নাইরে নাইরে না।

এ যে    বসন্তরাজ এসেছে আজ,

         বাইরে তাহার উজ্জ্বল সাজ,

ওরে    অন্তরে তার বৈরাগী গায়—

                 তাইরে নাইরে নাইরে না।

সে যে    উৎসবদিন চুকিয়ে দিয়ে,

         ঝরিয়ে দিয়ে, শুকিয়ে দিয়ে,

দুই    রিক্ত হাতে তাল দিয়ে গায়—

                তাইরে নাইরে নাইরে না।

 

[ প্রস্থান