প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
প্রথমা। ঠাকুরদা।
ঠাকুরদা। কী ভাই।
প্রথমা। আজ বসন্তপূর্ণিমার চাঁদের সঙ্গে মালা-বদল করব এই পণ করে ঘর থেকে বেরিয়েছি।
ঠাকুরদা। কিন্তু পণ রক্ষা হওয়া কঠিন দেখছি।
দ্বিতীয়া। কেন বলো তো।
ঠাকুরদা। তোমাদের ঠাকরুনদিদি কেবল একখানিমাত্র মালা আমার গলায় পরিয়েছেন।
তৃতীয়া। দেখেছ দেখেছ, ঠাকুরদার বিনয়টা একবার দেখেছ!
দ্বিতীয়া। হায় রে হায়, আকাশের চাঁদের এতদূর অধঃপতন হল!
ঠাকুরদা। যে ফাঁদ তোমরা পেতেছ, ধরা না দিয়ে বাঁচে কী করে।
প্রথমা। তবে তাই বলো, আমাদের ফাঁদের গুণ।
ঠাকুরদা। চাঁদেরও গুণ আছে উপযুক্ত ফাঁদ দেখলে সে আপনি ধরা দেয়।
তৃতীয়া। আচ্ছা ঠাকরুনদিদির হিসেবটা কিরকম। আজ উৎসবের দিনে না-হয় দুটো বেশি করেই মালা দিতেন।
ঠাকুরদা। যতই দিতেন কুলোত না, সেইজন্যে আজ একটিমাত্র দিয়েছেন। একটির কোনো বালাই নেই।
দ্বিতীয়া। ঠাকুরদা, তুমি দরজা ছেড়ে নড়বে না?
ঠাকুরদা। হাঁ ভাই, সকলকে এগিয়ে দেব, তার পর সব-শেষে আমি।
ঠাকুরদা। আরে, এসো এসো।
প্রথম। আমাদের নটরাজ তুমি, তোমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছিলুম।
ঠাকুরদা। আমি দরজার কাছে খাড়া আছি; জানি, এইখান দিয়েই সবাইকে যেতে হবে। তোমাদের দেখলেই পা-দুটো ছট্ফট্ করে। একবার নাচিয়ে দিয়ে যাও।
মম চিত্তে নিতি নৃত্যে কে যে নাচে
তাতা থৈথৈ তাতা থৈথৈ তাতা থৈথৈ।
তারি সঙ্গে কী মৃদঙ্গে সদা বাজে
তাতা থৈথৈ তাতা থৈথৈ তাতা থৈথৈ।
হাসিকান্না হীরাপান্না দোলে ভালে,
কাঁপে ছন্দে ভালোমন্দ তালে তালে,
নাচে জন্ম, নাচে মৃত্যু পাছে পাছে